যেকোনো কাজে সফলতা এবং ব্যর্থতা দুটোই থাকবে। তবে সমস্যাটা শুরু হয় তখন যখন একি রকম কিছু কারনে বারবার প্রতিশ্রুতিশীল ফ্রিল্যান্সারা ব্যর্থ হয়ে এই প্রতিযোগিতার ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছে, যা খুবই দুঃখ জনক।
আজ আমরা সেই কমন ৫টি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব, চলুন শুরু করা যাকঃ
১. পর্যাপ্ত এবং সঠিক দক্ষতার অভাবঃ
অনেক তরুন উদ্যোক্তা/ ফ্রিল্যান্সার ক্যারিয়ার শুরুই করে লোভ বা ভুল তথ্য পেয়ে। অনেকেই মনে করেন কম্পিউটার বা এন্ড্রয়েড মোবাইল থাকলে এবং ফাইভার / আপ ওয়ার্ক এ একাউন্ট থাকলেই হাজার হাজার ডলার ইনকাম করা যায়। অনেকে আবার ভেবে থাকেন কিছু ওয়েব সাইডে কিছু সময় ক্লিক করাই ফ্রিল্যান্সিং, আবার অনেকে তো বেটিং সাইড বা ডলার/ বিট কয়েন এক্সচেঞ্জ কে ফ্রিলান্সিং ভেবে ভুল করেন।
সঠিক এবং চাহিদা সম্পন্ন দক্ষ না হয়ে আর যায় করা যাক না কেন ফ্রিল্যান্সার হওয়া সম্ভব না। সফলতা বা ব্যর্থতা তো অনেক দুরের বিষয়।
২. সময়ের সঠিক ব্যবহারে ব্যর্থতাঃ
গতানুগতিক চাকুরিতে আপনার কাজ বোঝানো এবং করানোর জন্য কেউ একজন থাকেন যার ফলে কোন না কোন ভাবে আপনার ওপর অর্পিত কাজ আপনি সময় এবং গাইডের মধ্যে সম্পন্ন করে থাকেন। তবে একজন ফ্রিল্যান্সারের এই ধরনের কোন সুযোগ বা সুবিধা কোন টাই থাকে না। তবে হ্যাঁ এখানে আপনার ক্লাইন্ট থাকবে তবে সে একই অফিস এবং টাইমে আপনার সাথে কাজ করবে না। এবং বেশির ভাগ সময় তারা আপনাকে ফিক্সড ডেডলাইন দিবে না। এর সম্ভাব্য কারন হতে পারেঃ সময়ের ভিন্নতা, রিভিশন এবং ক্লাইন্ট এর ঐ কাজ সম্পন্ধে পর্যাপ্ত ধারনা না থাকা।
তাই একজন ফ্রিলান্সার হিসাবে আপনি আপনার সকল কাজ এবং সময় সঠিক ভাবে সমন্বয় করতে না পারেন তাহলে নেগেটিভ রিভিউয়ের পাশাপাশি পটেনশিয়াল ক্লাইন্ট হারাবেন।
৩. সঠিক পরিকল্পনার অভাবঃ
এই সেক্টরে এক স্কিল এবং এক ক্লাইন্ট এর কাজ সারা বছর থাকে না। তাই বছরের কোন সময় কি নিয়ে কাজ করবেন কোন ক্লাইন্ট এর কখন কোন ধরনের কাজ প্রয়োজন হতে পারে তার বিস্তারিত ধারনা থাকতে হবে। অন্যথায় নির্দিষ্ট সময় পর আপনি দীর্ঘ সময়ের জন্য কাজ পাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। তাই এখানে সময়ের সাথে সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে নিজেকে আপডেটেড রাখতে না পারলে ব্যর্থতা আপনার পিছু ছাড়বে না।
৪. কনফিডেন্স এর অভাবঃ
ফ্রিলান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করার পর আপনি অনুধাবন করবেন, এখানে সকল রেস্পন্সিবিলিটি আপনার। ছোট বড় সকল সিধান্ত আপনাকে করতে হচ্ছে। আপনার সফলতায় কেউ যেমন আপনাকে অভিবাদন জানাবে না ঠিক তেমনি আপনার ভুল গুলোও কেউ ধরিয়ে দেবে না।
এর মাঝে কিছু ক্লাইন্ট তাদের প্রজেক্ট এবং বিজনেজ সম্পর্কে আপনার কাছে আইডিয়া, পরামর্শ চাবে।
এই সকল কিছু তখনই আপনি সফল ভাবে করতে পারবেন যখন আপনি কনফিডেন্ট এবং সাহসী হবেন। প্রেসার অনেক আসবে তবে প্রেসার অনুভব না করে শুধু কাজ করে যেতে হবে। অন্যথায় ব্যর্থতা অনিবার্য।
৫. আয় এবং ব্যয়ের সমন্বয়হীনতাঃ
ফ্রিল্যান্সিং এ আয় যেমন ভাল তেমনি বায় ও অনেক বেশি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় তরুন ফ্রিলান্সার রা বন্ধু মহলের এক ধরনের মানুষিক চাপে ভোগে। কি যেন একটা প্রমান করতে গিয়ে প্রয়জনের চেয়ে অতিরিক্ত খরচ করে ফেলেন। যার ফলে একসময়য় সে নিজেই নিজেকে চাপে ফেলে। যা কাজের মান ঠিক রাখা এবং মনোসংযোগে বাধা সৃষ্টি করে। তাই ব্যর্থতা এড়াতে এ বিষয়ে কঠোর খেয়াল রাখা অতীব জরুরী।
এরকম আরও অসংখ্য কারন ফ্রিলান্সিং এ ব্যর্থ হওয়ার জন্য দায়ী। নিজেরা সতর্কতার সাথে কাজ করলে এগুলো থেকে খুব সহজেই নিজেকে দূরে রাখা সম্ভব।
এই বিষয়ে ফ্রিল্যান্স গুরুর কাছে যেকোনো প্রশ্ন এবং সাজেশনের জন্য কমেন্ট করুন অথবা ভিজিট করুন আমাদের সোশ্যাল সাইড গুলোতে।